জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি (Curriculum Vitae) হলো আপনার ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত এবং পেশাগত অভিজ্ঞতার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, যা আপনি কোনো চাকরিতে আবেদন করার সময় নিয়োগকর্তার কাছে পেশ করেন। এটি আপনার সম্পর্কে একটি প্রথম ধারণা তৈরি করে এবং নিয়োগকর্তাকে আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার বিষয়ে জানতে সাহায্য করে। একটি ভালো জীবনবৃত্তান্ত আপনাকে স্বপ্নের চাকরি পেতে সাহায্য করতে পারে, তাই এটি তৈরি করার সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
জীবনবৃত্তান্ত কেন গুরুত্বপূর্ণ?
একটি জীবনবৃত্তান্ত কেবল আপনার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরে না, বরং এটি আপনার পেশাদারিত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতাও প্রদর্শন করে। নিয়োগকর্তারা একটি জীবনবৃত্তান্তের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাথমিক স্ক্রিনিং করেন। যদি আপনার জীবনবৃত্তান্ত আকর্ষণীয় এবং সুসংগঠিত হয়, তবে আপনার ইন্টারভিউর জন্য ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যথায়, আপনার আবেদনটি বাতিল হয়ে যেতে পারে, যত ভালো প্রার্থীই আপনি হন না কেন।
জীবনবৃত্তান্তের প্রধান অংশসমূহ
একটি আদর্শ জীবনবৃত্তান্তে সাধারণত নিম্নলিখিত অংশগুলি থাকে:
১. ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information):
-
নাম
-
যোগাযোগের ঠিকানা (বর্তমান ও স্থায়ী)
-
ফোন নম্বর
-
ইমেল ঠিকানা
-
জাতীয়তা (ঐচ্ছিক)
-
জন্ম তারিখ (ঐচ্ছিক)
২. যোগাযোগের উদ্দেশ্য / সারসংক্ষেপ (Career Objective / Summary):
-
ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ: আপনি যদি সদ্য স্নাতক হন বা কর্মজীবনে নতুন হন, তবে এটি আপনার পেশাগত লক্ষ্য এবং যে ধরনের ক্যারিয়ার খুঁজছেন তা সংক্ষেপে বর্ণনা করে।
-
সামারি বা প্রোফাইল: আপনার যদি কয়েক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনার মূল দক্ষতা, অর্জন এবং পেশাগত অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে তুলে ধরুন। এটি নিয়োগকর্তাকে দ্রুত আপনার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে ধারণা দেয়।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা (Educational Qualifications):
-
সর্বশেষ ডিগ্রি থেকে শুরু করে পূর্ববর্তী ডিগ্রিগুলো উল্লেখ করুন (যেমন: স্নাতকোত্তর, স্নাতক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক)।
-
প্রতিটি ডিগ্রির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, পাসের বছর, প্রাপ্ত ফলাফল বা গ্রেড (যদি উল্লেখযোগ্য হয়) উল্লেখ করুন।
-
যদি কোনো বিশেষ কোর্স বা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, সেটিও এখানে উল্লেখ করতে পারেন।
৪. কাজের অভিজ্ঞতা (Work Experience):
-
সর্বশেষ কাজ থেকে শুরু করে আপনার পূর্ববর্তী সব প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন।
-
প্রতিটি কাজের জন্য পদবি, কোম্পানির নাম, কাজের সময়কাল (শুরু ও শেষ তারিখ) এবং আপনার প্রধান দায়িত্ব ও অর্জনগুলো বুলেট পয়েন্টে লিখুন।
-
আপনার অর্জনগুলো পরিমাপযোগ্য হলে ভালো (যেমন: “বিক্রয় ১৫% বৃদ্ধি করেছি” বা “একটি প্রকল্পে দলীয় নেতৃত্ব দিয়েছি যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে”)।
৫. দক্ষতা (Skills):
-
আপনার প্রধান দক্ষতাগুলি উল্লেখ করুন, যা আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন তার সাথে প্রাসঙ্গিক।
-
সাধারণত দক্ষতাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:
-
হার্ড স্কিলস (Hard Skills): প্রযুক্তিগত দক্ষতা, ভাষা জ্ঞান, সফটওয়্যার ব্যবহার, ডেটা অ্যানালাইসিস ইত্যাদি।
-
সফট স্কিলস (Soft Skills): যোগাযোগ দক্ষতা, দলগত কাজ, নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান, সময় ব্যবস্থাপনা, সৃজনশীলতা ইত্যাদি।
-
-
বিশেষ করে যে দক্ষতাগুলি চাকরির বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোকে হাইলাইট করুন।
৬. পুরস্কার ও সম্মাননা (Awards and Honors):
-
যদি আপনার কোনো শিক্ষাগত বা পেশাগত পুরস্কার, বৃত্তি বা সম্মাননা থাকে, তাহলে সেগুলো উল্লেখ করুন।
৭. প্রকাশনা ও গবেষণা (Publications and Research) – ঐচ্ছিক:
-
বিশেষত অ্যাকাডেমিক বা গবেষণা-ভিত্তিক পদে আবেদনের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রকাশিত প্রবন্ধ, গবেষণাপত্র বা থিসিসের বিবরণ দিন।
৮. স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ (Volunteer Work) – ঐচ্ছিক:
-
আপনি যদি কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করে থাকেন, তবে তা আপনার সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং অতিরিক্ত দক্ষতা প্রকাশ করে।
৯. ভাষা জ্ঞান (Language Proficiency):
-
আপনি যে ভাষাগুলো জানেন এবং সেগুলোতে আপনার দক্ষতা (পড়া, লেখা, বলা) উল্লেখ করুন।
১০. রেফারেন্স (References): * সাধারণত, “রেফারেন্স অনুরোধের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে” (References available upon request) লিখে দেওয়া হয়। * তবে, কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা রেফারেন্স ব্যক্তির নাম, পদবি, প্রতিষ্ঠান এবং যোগাযোগের তথ্য সরাসরি দিতে বলতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, রেফারেন্স হিসেবে এমন ব্যক্তিকে নির্বাচন করুন যিনি আপনার কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন এবং আপনার ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে পারবেন। রেফারেন্স দেওয়ার আগে তাদের অনুমতি নিতে ভুলবেন না।
একটি ভালো জীবনবৃত্তান্ত লেখার টিপস
১. নির্দিষ্ট চাকরির জন্য কাস্টমাইজ করুন: প্রতিটি চাকরির আবেদনের জন্য আপনার জীবনবৃত্তান্তকে কাস্টমাইজ করুন। চাকরির বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত মূল শব্দ এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো আপনার জীবনবৃত্তান্তে অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি নিয়োগকর্তাকে বোঝাবে যে আপনি কাজটি সম্পর্কে গুরুতর।
২. সহজবোধ্য এবং সংক্ষিপ্ত রাখুন: নিয়োগকর্তারা প্রতিটি জীবনবৃত্তান্ত পর্যালোচনা করার জন্য খুব কম সময় ব্যয় করেন (সাধারণত ৬-২০ সেকেন্ড)। তাই আপনার জীবনবৃত্তান্তটি ২ পৃষ্ঠার বেশি না হওয়াই ভালো, বিশেষ করে যদি আপনার অভিজ্ঞতা ১০ বছরের কম হয়। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দ্রুত চোখে পড়ার মতো করে লিখুন।
৩. ফরম্যাটিং এবং বিন্যাস:
-
একটি পরিষ্কার এবং পেশাদার বিন্যাস ব্যবহার করুন।
-
সহজপাঠ্য ফন্ট (যেমন: Arial, Calibri, Times New Roman) ব্যবহার করুন এবং ফন্টের আকার ১১-১২ পয়েন্ট রাখুন মূল লেখার জন্য এবং ১৪-১৬ পয়েন্ট শিরোনামের জন্য।
-
পর্যাপ্ত মার্জিন এবং লাইন স্পেসিং ব্যবহার করুন যাতে এটি পরিচ্ছন্ন দেখায়।
-
বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে তথ্যগুলোকে সহজবোধ্য করুন।
৪. ব্যাকরণ ও বানান পরীক্ষা করুন: কোনো ভুল বানান বা ব্যাকরণগত ত্রুটি আপনার পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। একাধিকবার জীবনবৃত্তান্তটি পড়ুন এবং সম্ভব হলে অন্য কাউকে দিয়ে পরীক্ষা করান।
৫. অ্যাকশন ভার্ব ব্যবহার করুন: আপনার দায়িত্ব ও অর্জনগুলো বর্ণনা করার জন্য শক্তিশালী অ্যাকশন ভার্ব (যেমন: নেতৃত্ব দিয়েছি, পরিচালনা করেছি, তৈরি করেছি, বিশ্লেষণ করেছি, উন্নত করেছি) ব্যবহার করুন।
৬. অর্জনগুলো তুলে ধরুন: কেবল আপনার দায়িত্বগুলো উল্লেখ না করে, আপনার অর্জনগুলো এবং কীভাবে আপনি আপনার পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে অবদান রেখেছেন তা হাইলাইট করুন। সংখ্যা বা শতাংশের মাধ্যমে আপনার অর্জনগুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করুন।
৭. সঠিক ফাইল ফরম্যাট: সাধারণত, পিডিএফ (PDF) ফরম্যাটে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়া ভালো, কারণ এটি আপনার ফরম্যাটিং অপরিবর্তিত রাখে। তবে, কিছু নিয়োগকর্তা ওয়ার্ড (Word) ফাইল চাইতে পারেন, তাই তাদের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
৮. কভার লেটার (Cover Letter): জীবনবৃত্তান্তের সাথে একটি উপযুক্ত কভার লেটার সংযুক্ত করুন। কভার লেটারটি আপনার আবেদনকৃত পদের প্রতি আগ্রহ এবং কেন আপনি এই পদের জন্য সেরা প্রার্থী তা তুলে ধরে। এটি আপনার জীবনবৃত্তান্তের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
৯. অনলাইন উপস্থিতি: নিশ্চিত করুন যে আপনার লিঙ্কডইন (LinkedIn) প্রোফাইল এবং অন্যান্য পেশাদার অনলাইন উপস্থিতি আপনার জীবনবৃত্তান্তের তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিয়োগকর্তারা প্রায়শই প্রার্থীদের অনলাইন প্রোফাইল পরীক্ষা করে থাকেন।
১০. সততা বজায় রাখুন: আপনার জীবনবৃত্তান্তে কোনো মিথ্যা তথ্য দেবেন না। নিয়োগকর্তারা সত্যতা যাচাই করতে পারেন এবং মিথ্যা তথ্য প্রমাণিত হলে আপনার চাকরির সুযোগ নষ্ট হতে পারে।
সদ্য স্নাতক বা সীমিত অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের জন্য টিপস
আপনি যদি সদ্য স্নাতক হন বা কর্মজীবনে নতুন হন, তবে আপনার জীবনবৃত্তান্তের ফোকাস কিছুটা ভিন্ন হতে পারে:
-
শিক্ষাগত যোগ্যতা: আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রাপ্ত গ্রেড বা সম্মাননা, থিসিস বা প্রকল্পের বিবরণ বিশেষভাবে তুলে ধরুন।
-
ইন্টার্নশিপ ও স্বেচ্ছাসেবী কাজ: যদি আপনার কোনো ইন্টার্নশিপ বা স্বেচ্ছাসেবী কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তবে সেগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন।
-
প্রকল্পের কাজ: বিশ্ববিদ্যালয়ে করা কোনো বড় প্রকল্প, গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট বা গবেষণা থাকলে সেগুলো উল্লেখ করুন এবং আপনার ভূমিকা ও অর্জনগুলো তুলে ধরুন।
-
অতিরিক্ত কার্যাবলী: যদি আপনি কোনো ক্লাব, সংগঠন বা ছাত্র সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করে থাকেন, তবে আপনার নেতৃত্ব, দলগত কাজ বা সাংগঠনিক দক্ষতাগুলো তুলে ধরতে পারেন।
-
প্রাসঙ্গিক কোর্সওয়ার্ক: আপনার পড়াশোনার সময় নেওয়া প্রাসঙ্গিক কোর্সগুলো উল্লেখ করুন, যা আপনার আবেদনকৃত পদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
-
দক্ষতা: আপনার দক্ষতা বিভাগে হার্ড স্কিলস (যেমন: প্রোগ্রামিং ভাষা, সফটওয়্যার) এবং সফট স্কিলস (যেমন: যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান) উভয়ই উল্লেখ করুন।
কিছু সাধারণ ভুল এড়িয়ে চলুন
-
ব্যক্তিগত সর্বনাম ব্যবহার: “আমি”, “আমার” ইত্যাদি ব্যক্তিগত সর্বনাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বুলেট পয়েন্টে শুরুতেই অ্যাকশন ভার্ব ব্যবহার করুন।
-
অপ্রাসঙ্গিক তথ্য: আপনার বয়স, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা অপ্রাসঙ্গিক শখ ইত্যাদি উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই, যদি না চাকরির বিজ্ঞাপনে বিশেষভাবে চাওয়া হয়।
-
বেতন প্রত্যাশা: জীবনবৃত্তান্তে বেতন প্রত্যাশা উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকুন, যদি না চাকরির বিজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে চাওয়া হয়।
-
সিভি টেমপ্লেট ব্যবহার: অনলাইনে সহজলভ্য টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারেন, তবে নিশ্চিত করুন যে এটি আপনার জন্য কাস্টমাইজড এবং পেশাদার দেখাচ্ছে।
-
কপি-পেস্ট: অন্য কোনো জীবনবৃত্তান্ত থেকে সরাসরি কপি-পেস্ট করা এড়িয়ে চলুন। আপনার নিজের ভাষা এবং শৈলীতে লিখুন।
জীবনবৃত্তান্ত তৈরির প্রক্রিয়া
১. তথ্য সংগ্রহ: প্রথমে আপনার সব প্রাসঙ্গিক তথ্য (শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা, অর্জন, দক্ষতা, তারিখ ইত্যাদি) এক জায়গায় সংগ্রহ করুন।
২. **একটি খসড়া তৈরি: তথ্যগুলো ব্যবহার করে জীবনবৃত্তান্তের একটি খসড়া তৈরি করুন। এই পর্যায়ে ফরম্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে সব তথ্য লিখে ফেলুন।
৩. চাকরির বিজ্ঞাপনের সাথে মিলান: আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, সেই বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত মূল প্রয়োজনীয়তা, দক্ষতা এবং দায়িত্বগুলো দেখুন। আপনার জীবনবৃত্তান্তের কোন অংশগুলো এই চাহিদার সাথে মেলে, তা চিহ্নিত করুন।
৪. কাস্টমাইজ এবং অপ্টিমাইজ করুন: বিজ্ঞাপনের সাথে মিলিয়ে আপনার জীবনবৃত্তান্তের ভাষা, মূল শব্দ এবং অর্জনের বিবরণগুলো কাস্টমাইজ করুন। অপ্রাসঙ্গিক তথ্য বাদ দিন এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য যোগ করুন।
৫. ফরম্যাটিং এবং ডিজাইন: জীবনবৃত্তান্তটিকে পেশাদার এবং আকর্ষণীয় দেখাতে একটি পরিষ্কার ফরম্যাট এবং ডিজাইন বেছে নিন। নিশ্চিত করুন যে এটি সহজে পড়া যায়।
৬. প্রুফরিডিং: বানান, ব্যাকরণ এবং যেকোনো ভুল ডেটা পরীক্ষা করার জন্য বারবার প্রুফরিড করুন। সম্ভব হলে অন্য কাউকে দিয়েও দেখান।
৭. পিডিএফ হিসেবে সংরক্ষণ: চূড়ান্ত জীবনবৃত্তান্তটি পিডিএফ ফরম্যাটে সংরক্ষণ করুন। ফাইলটির নাম এমনভাবে দিন যাতে নিয়োগকর্তা সহজে বুঝতে পারেন যে এটি কার জীবনবৃত্তান্ত (যেমন: আপনারনাম_জীবনবৃত্তান্ত.pdf)।
৮. কভার লেটার তৈরি: আপনার জীবনবৃত্তান্তের সাথে একটি কাস্টমাইজড কভার লেটার তৈরি করুন, যা প্রতিটি চাকরির আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট করে লেখা হবে।
একটি ভালো জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করা একটি শিল্প এবং বিজ্ঞান উভয়ই। এটি আপনার পরিশ্রম, পেশাদারিত্ব এবং আপনি যে পদে আবেদন করছেন তার প্রতি আপনার আগ্রহের প্রতিফলন। সঠিক পরিকল্পনা, যত্ন এবং মনোযোগ দিয়ে তৈরি করা একটি জীবনবৃত্তান্ত আপনার ক্যারিয়ারের দরজা খুলে দিতে পারে। মনে রাখবেন,



