946 viewsCareer Counselling
0

বিশ্বের যে সব দেশ কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, তারা তত বেশি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, দেশের সকল শ্রেণির শিক্ষিত জনগণ সমন্বিত অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে কারিগরি শিক্ষা।

বিশেষ করে, মধ্যমস্তরের কারিগরি শিক্ষা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি কারিগরি দক্ষতা ও জনশক্তির ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনগণের অংশগ্রহণের হার মাথাপিছু আর্নিং বা জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। বিশ্বজুড়ে কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে এবং আজ তারা উন্নত বিশ্বের কাতারে অবস্থান করছে।

বিশ্বায়নের এই যুগে, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং তাই ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব আরও বেড়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা একটি নিশ্চিত কর্মসংস্থানের পথ এবং এটি একটি প্রমাণিত মাধ্যম। সারা বিশ্বে সাধারণ শিক্ষার তুলনায় কারিগরি শিক্ষা এখন বেশি জনপ্রিয় এবং সম্মানজনক।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সেমিস্টার পদ্ধতিতে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি বর্তমানে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই কোর্সটি শেষ করে কেউ সরকারি চাকরিতে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে পারেন।

এছাড়া, সরকারি-বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থানেরও ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। যারা উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চান, তাদের জন্যও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পর B.Sc ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ এবং দুই বছরের A.M.I.E পরীক্ষা দিয়ে B.Sc ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগও রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে, একজন শিক্ষার্থী মর্যাদাপূর্ণ চাকরি অথবা নিজের পছন্দমত ব্যবসা শুরু করার সুযোগ পায়।

ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট সারা বিশ্বে স্বীকৃত এবং সেশনজট মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে।

Khan Mohammad Mahmud Hasan Changed status to publish December 22, 2024
Scroll to Top