ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদেরকে বিএসসি এর পাস লেভেল দেয়া নিয়ে কিছু কথা

বর্তমানে ফেসবুক খুললেই দেখা যায় যে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদেরকে বিএসসি এর পাস লেভেল দেয়ার বেশ কিছু কমিটি গঠন করা হয়েছে । সঙ্গে যেটা দেখা যাছে যে যে বিভিন্ন ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা তাদের আশার বাণী বলছে বা confusion হচ্ছে । আর কিছু জায়গাতে আমি দেখছি যে বিএসসি ধারীরা খুব ভালোভাবেই protest করছে যে কেন এদেরকে এখন বিএসসি করানো হবে, এই টাইপের অনেক কথাবার্তা ফেসবুকে প্রচুর দেখা যাচ্ছে। আমি এই ব্যাপারে একটু কিছু লেখা ফেইসবুক এ লিখছিলাম , ভাবলাম যে আবার একটু ঝালাই করে নেই ।
আমি এখানে একটা গ্রাফ অ্যাড করেছি এই পোস্টের সাথে যে পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমি কথাগুলো বলব ।
বেসিক্যালি বাংলাদেশের যদি আমরা লেবার মার্কেট অবস্থান দেখি যেখানে শ্রম বাজার যেটা বলছে সেটার সাইজটা কিন্তু খুব একটা বড় নয় . এই মার্কেট এ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এন্টি লেভেল জব গুলো আছে যেগুলো সার্টিফিকেটধারী তারাই করতে পারবে। ডিপ্লোমা পাস কারীদের জব খুব একটা বেশি নেই, এটা তো আমাদের একটা মাথায় রাখতে হবে. তাহলে এরা আসলে কি করবে তারাও কিন্তু এখন জবের হাহাকারে পরেছে বিএসসি এর জন্য , তাই তারাও ভয়ে আছে ।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদেরকে বিএসসি এর পাস লেভেল দেয়া নিয়ে কিছু কথা
আমাদেরকে ভাবতে হবে এই যে আমরা প্রতিবছর লাখ লাখ লোককে ডিপ্লোমা পাস করাচ্ছি বা বিএসসি পাশ করছে লাখ লাখ লোক তারা আসলে কোথায় যাবে. এখন যদি আমরা খেয়াল করি যে অনেকেই বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন । তাই আমরা যখনই একটা এডুকেশন সিস্টেমে হাত দেব তখনই আমাদেরকে
এটা চিন্তা করতে হবে যে এদের ফিউচার কি আমাদের দেশের শ্রম বাজারে ? এদেরকে ঢোকানোর কতটুকু পসিবল হবে ? এরা একসেপ্টেড কি লেভেলে হবে ? আর বিদেশী সিস্টেমে এ এরা কি করবে?
আমি অনেকদিন যাবতীয় বিদেশি এডুকেশন সিস্টেম এর সাথে কাজ করছি বিভিন্ন কারণে, আমি যতটুকু আমার রিসার্বচ যে বিশ্বের যেখানে যেখানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার আছে, সব দেশেই একটা বয়সের ব্যাপার থাকে। যে যখন বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা পাশ করবে তার কত বছর হবে যখন ডিপ্লোমা পাস করবে তখন কত বছরের এক্সপেক্টেশন থাকবে, এগুলো আমাদেরকে মাথায় রেখে আসলে চিন্তা করে একটা ডিজাইন করতে হবে ।
বেসিক্যালি, দেশে একজন ডিপ্লোমা ধারি কে বিএসসি পাস লেভেল দিয়ে আমরা কতটুকু সুবিধা পেতে পারি ? হ্যা ডিপ্লোমারা বলতে পারে আমরা বিএসসি পাস, এটা বলতে পারবেন. আর যেটা বলতে পারবেন যে হয়তো বা সরকারি গ্রেডে একটা গ্রেড আপগ্রেশন হবে. যেটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ভুল হবে সেটা বলা উচিত নয় ।
আমার কথা হচ্ছে যেখানে বিশ্বে ২২ বছরের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে শুধু মানা হয়, সেখানে ২০ বছরের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা যোগ করে ২২ বছর কি কোনো ভাবেই বাহিরের দেশে মেনে নিবে ? আমার অভিজ্ঞতা আর রিসার্চ বলে না, মানবেনা । এমনিতেই আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বিদেশে প্রশ্ন বিদ্ধ , তার পরে ই বয়সের বাধা ! এটা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি দুঃসপ্ন ছাড়া কিছুই হবে না ।
আমাদের উচিত ডিপ্লোমা এর কোর্স গুলো নুতন করে ডিসাইন করে বিএসসি এর সালে মিলিয়ে তৈরী করা, এবং ডিপ্লোমা শেষে ২ বছরের ক্রেডিট কোর্স ইউনিভার্সিটি তে করে বিএসসি কমপ্লিট করা । আর যারা আগে ডিপ্লোমা কমপ্লিট করেছেন , তাদের কোর্স এসেসমেন্ট করে , এক্ষ্ত্র ক্রেডিট করে বিএসসি যে করা যেতে পারে । এই বাপারটা ব্রিজ প্রোগ্রাম হিসেবে চালানো যেতে পারে সহজেই। একানে বাধা হচ্ছে UGC এবং BTEB এর মধ্যে সহমত এ আসা।
আর সরকার কে ডিপ্লোমা আর বিএসসি এর ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং school লেভেল এ করা শুরু করতে হবে হবে, যেন যার যেটা প্রয়োজন সেটাই যেন নে ভবিষ্যতে ।
আমি সংক্ষিত আকারে বলার চেষ্টা করলাম, আর করি ই লেখাটা কিছুটা হলেও কাজে লাগবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top