বাংলাদেশের জীবন ও জীবিকা পাঠ্যক্রম: কলবের শেখা চক্রের প্রয়োগ

Designed and Copyrighted to the Author: Khan Mohammad Mahmud Hasan

বাংলাদেশের জীবন ও জীবিকা পাঠ্যক্রম  শিক্ষার্থীদের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জ্ঞান দানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনে সফল হতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা ও মনোভাব অর্জন করতে পারবে।

কলবের শেখা চক্র হলো অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক শেখা মডেল যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে। এই মডেল অনুসারে, শেখা চারটি ধাপে ঘটে:

  1. প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা: নতুন তথ্য বা অভিজ্ঞতার সরাসরি সংস্পর্শ।
  2. প্রতিফলিত পর্যবেক্ষণ: অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ এবং প্রতিফলন।
  3. বিমূর্ত ধারণা গঠন: অভিজ্ঞতা থেকে নীতি ও ধারণা তৈরি।
  4. সক্রিয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা: নতুন পরিস্থিতিতে নীতি ও ধারণা প্রয়োগ।

কলবের শেখা চক্রের প্রয়োগ:

পাঠ্যক্রমে কলবের শেখা চক্রের প্রয়োগ শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে আরও কার্যকর হতে পারে। নিম্নে প্রতিটি ধাপের জন্য কিছু বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো:

Designed and Copyrighted to the Author: Khan Mohammad Mahmud Hasan

 

প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা

কলবের শেখা চক্রের প্রথম ধাপ হলো প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা। এই ধাপে, শিক্ষার্থীরা নতুন তথ্য বা অভিজ্ঞতার সরাসরি সংস্পর্শে আসে। এটি তাদের জ্ঞানের ভিত্তি তৈরি করে এবং পরবর্তী ধাপগুলিতে শেখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে।

প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নরূপ:

১. সরাসরি সংস্পর্শ:

  • শিক্ষার্থীরা তাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে নতুন তথ্য বা অভিজ্ঞতার সরাসরি সংস্পর্শে আসবে।
  • তারা দেখবে, শুনবে, স্পর্শ করবে, স্বাদ গ্রহণ করবে এবং নতুন জিনিসগুলি অনুভব করবে।
  • এটি তাদের জ্ঞানকে আরও বাস্তব এবং অর্থপূর্ণ করে তোলে।

২. সক্রিয় অংশগ্রহণ:

  • শিক্ষার্থীরা কেবল তথ্য গ্রহণকারী হবে না, বরং তারা তাদের অভিজ্ঞতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে।
  • তারা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং নতুন জিনিসগুলি চেষ্টা করবে।
  • এটি তাদের জ্ঞানকে আরও স্থায়ী এবং প্রয়োগযোগ্য করে তোলে।

৩. বৈচিত্র্য:

  • শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেওয়া উচিত।
  • এটি তাদের জ্ঞানকে আরও ব্যাপক এবং গভীর করে তোলে।

প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতার উদাহরণ:

  • ক্ষেত্র ভ্রমণ: শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেত্র ভ্রমণের মাধ্যমে জীবন ও জীবিকা সম্পর্কে সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি খামার, কারখানা, বাজার, স্কুল, হাসপাতাল, ইত্যাদিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
  • পরীক্ষা-নিরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি, ইত্যাদি বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে।
  • প্রকল্প: শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রকল্প করার মাধ্যমে জীবন ও জীবিকার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গভীরভাবে জানার সুযোগ করে দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ, পরিবারের আয়-ব্যয়ের হিসাব, পরিবেশ দূষণের কারণ ও সমাধান, স্থানীয় সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ইত্যাদি বিষয়ে প্রকল্প করা যেতে পারে।

প্রতিফলিত পর্যবেক্ষণ

কলবের শেখা চক্রের দ্বিতীয় ধাপ হলো প্রতিফলিত পর্যবেক্ষণ। এই ধাপে, শিক্ষার্থীরা তাদের প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে, প্রতিফলন করে এবং তাদের অর্জিত জ্ঞানকে সংগঠিত করে।

এই ধাপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নরূপ:

১. অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ:

  • শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতাগুলিকে বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করবে।
  • তারা তাদের অভিজ্ঞতায় কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে এবং এর ফলাফল কী হয়েছে তা ভাববে।
  • তারা তাদের অভিজ্ঞতায় জড়িত ব্যক্তি, প্রক্রিয়া এবং ধারণাগুলি চিহ্নিত করবে।

২. প্রতিফলন:

  • শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়াগুলি নিয়ে প্রতিফলন করবে।
  • তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখেছে এবং তা তাদের জীবনে কীভাবে প্রয়োগ করতে পারে তা ভাববে।
  • তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত প্রশ্নগুলি চিহ্নিত করবে এবং উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।

৩. জ্ঞান সংগঠিত করা:

  • শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত জ্ঞানকে সংগঠিত করবে।
  • তারা তাদের জ্ঞানকে ধারণা, নীতি এবং তত্ত্বের সাথে সংযুক্ত করবে।
  • তারা তাদের জ্ঞানকে তাদের জীবনের অন্যান্য অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত করবে।

প্রতিফলিত পর্যবেক্ষণের কৌশল:

  • জার্নাল লেখা: শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা, চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলি জার্নালে লেখার মাধ্যমে প্রতিফলিত করতে পারে।
  • আলোচনা: শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শ্রেণিকক্ষে বা ছোট গোষ্ঠীতে আলোচনা করতে পারে।
  • প্রশ্নোত্তর: শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার মাধ্যমে তাদের চিন্তাভাবনা উদ্দীপিত করতে পারেন।
  • কেস স্টাডি: শিক্ষার্থীরা অন্যদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কেস স্টাডি পড়ে এবং বিশ্লেষণ করে তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে।

প্রতিফলিত পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব:

  • প্রতিফলিত পর্যবেক্ষণ শিক্ষার্থীদের তাদের অভিজ্ঞতা থেকে সর্বাধিক শিখতে সাহায্য করে।
  • এটি শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা বিকাশ করতে সাহায্য করে।
  • এটি শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞানকে তাদের জীবনে প্রয়োগ করতে সাহায্য করে।

 

বিমূর্ত ধারণা গঠন

কলবের শেখা চক্রের তৃতীয় ধাপ হলো বিমূর্ত ধারণা গঠন। এই ধাপে, শিক্ষার্থীরা তাদের প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা থেকে নীতি, ধারণা এবং তত্ত্ব তৈরি করে।

এই ধাপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নরূপ:

১. ধারণা চিহ্নিত করা:

  • শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলিকে চিহ্নিত করবে।
  • তারা তাদের অভিজ্ঞতায় কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে এবং এর ফলাফল কী হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে ধারণাগুলি বের করবে।
  • তারা বিভিন্ন ধারণার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করবে।

২. ধারণাগুলিকে সংজ্ঞায়িত করা:

  • শিক্ষার্থীরা ধারণাগুলিকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করবে।
  • তারা ধারণার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি চিহ্নিত করবে।
  • তারা ধারণার উদাহরণ এবং অ-উদাহরণ প্রদান করবে।

৩. ধারণা প্রয়োগ করা:

  • শিক্ষার্থীরা নতুন পরিস্থিতিতে ধারণাগুলিকে প্রয়োগ করবে।
  • তারা ধারণাগুলিকে সমস্যা সমাধানে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবহার করবে।
  • তারা ধারণাগুলিকে তাদের জ্ঞানের ভিত্তিতে সংযুক্ত করবে।

বিমূর্ত ধারণা গঠনর কৌশল:

  • চিন্তাভাবনার মানচিত্র: শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণাগুলিকে সংগঠিত করতে চিন্তাভাবনার মানচিত্র ব্যবহার করতে পারে।
  • লেখা: শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণাগুলিকে সংজ্ঞায়িত এবং ব্যাখ্যা করতে লেখার মাধ্যমে প্রতিফলিত করতে পারে।
  • আলোচনা: শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণাগুলিকে শ্রেণিকক্ষে বা ছোট গোষ্ঠীতে আলোচনা করতে পারে।
  • মেন্টরশিপ: শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে মেন্টরশিপের মাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণাগুলিকে বিকাশ করতে পারে।

বিমূর্ত ধারণা গঠনর গুরুত্ব:

  • বিমূর্ত ধারণা গঠন শিক্ষার্থীদের তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অর্থ বের করতে সাহায্য করে।
  • এটি শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞানকে সংগঠিত এবং স্থায়ী করতে সাহায্য করে।
  • এটি শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞানকে নতুন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করতে সাহায্য করে।

উদাহরণ:

  • একজন শিক্ষার্থী কৃষি খামারে ক্ষেত্র ভ্রমণের মাধ্যমে কৃষি সম্পর্কে প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
  • শিক্ষার্থী তার অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন ধারণা চিহ্নিত করে, যেমন:
    • কৃষি জমির প্রস্তুতি
    • বীজ বপন

 

সক্রিয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা

কলবের শেখা চক্রের চতুর্থ এবং শেষ ধাপ হলো সক্রিয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই ধাপে, শিক্ষার্থীরা নতুন পরিস্থিতিতে তাদের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা এবং ধারণা প্রয়োগ করে।

এই ধাপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নরূপ:

১. প্রয়োগ:

  • শিক্ষার্থীরা নতুন পরিস্থিতিতে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং ধারণা প্রয়োগ করবে।
  • তারা সমস্যা সমাধানে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং নতুন জিনিস তৈরিতে তাদের জ্ঞান ব্যবহার করবে।
  • তারা তাদের জ্ঞানকে তাদের জীবনের অন্যান্য দিকগুলিতে প্রয়োগ করবে।

২. প্রতিফলন:

  • শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান প্রয়োগের ফলাফল নিয়ে প্রতিফলন করবে।
  • তারা তাদের জ্ঞান কতটা কার্যকর ছিল তা বিশ্লেষণ করবে।
  • তারা তাদের জ্ঞান প্রয়োগে তাদের ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করবে এবং উন্নত করার চেষ্টা করবে।

৩. জ্ঞান পরিমার্জন:

  • শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞানকে পরিমার্জন করবে।
  • তারা তাদের জ্ঞানের ত্রুটিগুলি সংশোধন করবে এবং এটিকে আরও কার্যকর করবে।
  • তারা তাদের জ্ঞানকে নতুন তথ্য এবং অভিজ্ঞতার সাথে সংযুক্ত করবে।

সক্রিয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কৌশল:

  • প্রকল্প: শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান প্রয়োগ করার জন্য প্রকল্প করার সুযোগ করে দেওয়া।
  • ইন্টার্নশিপ: শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান প্রয়োগ করার জন্য বাস্তব জীবনের পরিবেশে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ করে দেওয়া।
  • সিমুলেশন: শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান প্রয়োগ করার জন্য সিমুলেটেড পরিবেশে অনুশীলন করার সুযোগ করে দেওয়া।
  • খেলা: শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান প্রয়োগ করার জন্য খেলাধুলার মাধ্যমে অনুশীলন করার সুযোগ করে দেওয়া।

সক্রিয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার গুরুত্ব:

  • সক্রিয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে সাহায্য করে।
  • এটি শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞানের ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করতে এবং উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • এটি শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞানকে আরও স্থায়ী এবং প্রয়োগযোগ্য করে তোলে।

উদাহরণ:

  • একজন শিক্ষার্থী কৃষি খামারে ক্ষেত্র ভ্রমণের মাধ্যমে কৃষি সম্পর্কে প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
  • শিক্ষার্থী তার অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন ধারণা চিহ্নিত করে এবং সেগুলি তার নিজের বাগানে প্রয়োগ করে।
  • শিক্ষার্থী তার জ্ঞান প্রয়োগের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে তার জ্ঞানকে পরিমার্জন করে।

 

জীবন ও জীবিকা পাঠ্যক্রম: বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সহায়তা

বাংলাদেশের জীবন ও জীবিকা (জজপ) পাঠ্যক্রমটি বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারে। এর কিছু উল্লেখযোগ্য দিক নিম্নরূপ:

বর্তমান প্রজন্মের জন্য সহায়তা:

  • জীবিকা দক্ষতা বৃদ্ধি: জজপ পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জীবিকা দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে যা তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।
  • সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বৃদ্ধি: জজপ পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতা বৃদ্ধি: জজপ পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
  • জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন: জজপ পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করবে।

ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সহায়তা:

  • টেকসই জীবিকা: জজপ পাঠ্যক্রম ভবিষ্যত প্রজন্মকে টেকসই জীবিকার ধারণা সম্পর্কে শিক্ষিত করবে।
  • পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি: জজপ পাঠ্যক্রম ভবিষ্যত প্রজন্মকে পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
  • সামাজিক দায়িত্ব: জজপ পাঠ্যক্রম ভবিষ্যত প্রজন্মকে সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করবে।
  • জাতির উন্নয়নে অবদান: জজপ পাঠ্যক্রম ভবিষ্যত প্রজন্মকে জাতির উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত করবে।

বাংলাদেশের জীবন ও জীবিকা পাঠ্যক্রম কলবের শেখা চক্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে, জীবিকা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে সহায়তা করবে।

এই প্রবন্ধটি আমার বই “জীবন ও জীবিকা: কলবের শিখন পদ্ধতিতে এক অনন্য অনুসরণ” এর কিছু অংশের প্রতিফলন.

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *