আমরা সব সময় টিভেট নিয়েই কথা বলি বেশিভাগই। একসাথে বলার কারণে অনেকেই এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পায় না। তাদের জন্য এই পোস্ট। টিভেট এর পূর্ণ মানে হলো টেকনিকাল এন্ড ভোকেশনাল এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং। যার মানে দাঁড়ায় কারিগরি এবং ভোকেশনাল সেক্টর এর শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ।
কারিগরি শিক্ষা বলতে বুঝানো হয় সাধারণত ডিপ্লোমা বা তার উপরের ডিগ্রী গুলো (যদিও বাংলাদেশ এ কারিগরি ডিপ্লোমা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ) আর ভোকেশনাল শিক্ষা বলতে বুঝানো হয় যেসকল শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি কাজে ঢুকে যাওয়া যাওয়া যায় , যেমন ড্রাইভিং, ওয়েল্ডিং ইত্যাদি।
আমরা আমাদের সন্তানদের ইঞ্জিনিয়ার বানানোর লোভে ডিপ্লোমা তে ভর্তি করিয়ে দেই , এতো টুকু ভাবি না যে চাকরি আছে কিনা। এখনো আমাদের দেশে অনেক ডিপ্লোমা আছে যার শিক্ষার্থীরা কোথাও চাকরি পায় না। কারন চাকুরী নেই আর দৃতীয়ত চাকরি বাজার এ যুদ্ধ করার জন্য সে পরিমান দক্ষতা বা শিক্ষা দরকার তা নেই।
আর ভোকেশনাল সেক্টর এ যেখানে কাজ আছে সেখানে শিক্ষা / প্রশিক্ষণ না নিয়ে, এমন কিছু সেক্টর এ বেশি বেশি প্রশিক্ষণ হচ্ছে যেখানে চাকরি নাই বললেই চলে আর থাকলেও সেখানে অনেক অনেক কম্পিটিশন।
ভোকেশনাল বিষয়ে আরেকটা বিষয় না বললেই না। আমাদের দেশে এ ইনফরমাল সেক্টর এ ৮০ শতাংশ চাকরি / ব্যবসা। অথচ বেশিভাগই শিক্ষিত না। এই সকল ইনফরমাল সেক্টর এই সকলকে ভোকেশনাল শিক্ষাতে (অবশই শিক্ষার নুন্নতম কমাতে হবে বা প্রি ভোক এর মাধ্যমে শিক্ষিত করতে হবে ) অবশই বেশি করে আনতে হবে , বেশি বেশি প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। প্রি ভোক শুরু করলেও আগাতে পারিনাই বেশি আমরা, কারণ আমাদের মাথা ব্যাথা ২০ শতাংশ শিক্ষিতদের যারা শিক্ষিত হয়ে ভোকেশনাল কাজ করতে চায়না কিন্তু প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সময় আর টাকা দুইটারই বলিদান।
আমাদের সবাই কেই উচিত এর ৮০ শতাংশের দিকে বেশি জোর দিতে, এর জন্য প্রকল্প গুলোকে আগাতে হবে বেশি বেশি। প্রি ভোক এর দিকে বেশি ঝুঁকতে হবে।